ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা
গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর যৌথ প্রয়াস
প্রকল্পটির যৌক্তিকতা
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। জনসংখ্যা সমীক্ষা ২০১৪-এর তথ্য মতে, এখনো বাংলাদেশে গর্ভকালীন মা ও শিশুমৃত্যুর হার যথেষ্ঠ বেশি। পাশাপাশি বেশি ওজনের শিশুর জন্ম ও জন্মের পরই শিশুর মৃত্যু, অকালে সন্তান প্রসব এবং শিশুদের জন্মত্রুটিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থ’ূলতা, মাতৃত্বকালীন পুষ্টিহীনতা, রক্তশূন্যতা, মূত্রনালী ও মূত্রথলির ইনফেকশন ও মূত্রে আমিষের উপস্থিতিকে এসবের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জটিলতাগুলো কমাবার জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এমডিজি) গৃহীত মা ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে মা ও শিশুমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের এই অর্জন ইতিমধ্যেই জাতিসংঘ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে।
সরকার ও অন্যান্য দেশি-বিদেশি সংস্থার মতো, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিও মা ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এসব কর্মসূচি বিশেষভাবে, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশে গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসজনিত (জিডিএম) মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু লক্ষণীয়ভাবে কমে এসেছে। বর্তমান প্রকল্পটি থেকে প্রশিক্ষিত কাজীরা বিয়ের অনুষ্ঠান নিবন্ধন করার পাশাপাশি নবদম্পতিকে পরামর্শ সেবা গ্রহণের সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং অসংক্রামক রোগ বিশেষ করে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবেন।
Prospective & Experienced Mothers
Prospective Mother & Doctors
Prospective Mothers & Religious Leaders
Doctors & Religious Leaders